Summary
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন ও সাহিত্য নিদর্শন। এটি খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত, এবং এর লেখকেরা সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ। বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে পদগুলো রচিত হয়েছে। এই গীতিপদাবলি বাংলা সাধন সংগীতের সূচনা করে এবং এটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা হিসেবে বিবেচিত। চর্যাপদ সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলিও প্রকাশ করে। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন এবং আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের বাংলা ভাষার সঙ্গে যোগসূত্র প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি।খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীত শাখাটির সূত্রপাতও হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। সে বিবেচনায় এটি একটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা।
একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলোতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।